করোনা থেকে বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার সহজ উপায়|

আপনার বাসায় যদি করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ে বা ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে কিভাবে বাসা জীবাণুমুক্ত করবেন? 

এ বিষয়টিকে দুইটি ভাগে ভাগ করে খুব সহজ ভাবে তুলে ধরব। 

শুরু করার আগে হাতে রাবারের গ্লাভস পড়বেন।

পা ঢেকে থাকে এমন সু পড়ে নেবেন। আর গায়ে একটা ওয়াটার প্রুফ জামা যেমন রেইনকোট পড়ে নেবেন। 

এগুলোর বাইরে আরো কিছু সাবধানতার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন চোখে মুখে ছিটা আসার সম্ভাবনা থাকলে একটা সার্জিকাল  মাক্স পড়ার আর চোখের জন্য চশমা ব্যবহার  পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা।

এর কোন টা না থাকলে বাসায় সাবধানতা সহ কাজ করবেন,বাসায় পাওয়ার ছাড়া চশমা থাকলে সেটা ব্যবহার করতে পারেন,যত বড় চশমা তত সুরক্ষার সম্ভাবনা বেশি। 

এখন বলবো জীবাণুমুক্ত করার দুইটি ধাপ। 

প্রথম ধাপ হচ্ছে ক্লিনিং বা পরিষ্কার করা। জায়গা গুলো কে সাবান পানি দিয়ে বা ডিটারজেন্ট পানি  দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে।যে জায়গা পরিষ্কার করবেন সেই জায়গা ধুলাবালি থাকলে সেখানে জীবাণু নাশকের কার্যবলি ঠিক মত সম্পন্ন হয় না।ধরেন আপনি দরজার হাতল পরিষ্কার করছেন,তখন দরজার  এবং জীবাণুনাশক এর মাঝে একটা পর্দা বা বাধা হিসেবে কাজ করবে সেই ধুলোবালি।সেটা জীবাণুনাশক কে  নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। মনে রাখবেন সব ধুলাবালি কিন্তু আমরা চোখে দেখতে পাই না।

মোট কথা আগে পরিষ্কার করে না নিলে জীবাণুনাশক  ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না।তার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। পরিষ্কার করার সময় দুইটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। 

এক ,যেখানে ময়লা বেশি দেখা যাচ্ছে এটা আগে পরিষ্কার করা যাবে না। সবচেয়ে কম ময়লা থেকে বেশি ময়লার দিকে আসতে হবে।

উপরে জিনিস পরিষ্কারের পরে নিচের দিকে আসতে হবে যেমন আগে টেবিল পরিষ্কার করে ফ্লোর পরিষ্কার করবেন। প্রথম ধাত শেষ এখন আসছি দ্বিতীয় ধাপ। 

ডিসিনফ্যাক্ট করা বা জীবাণুমুক্ত করা। 

এই ধাপে জীবাণুগুলো নিষ্ক্রিয় হবে। জীবাণুনাশক  আপনি বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন অথবা বাসায় বানিয়ে নিতে পারেন। জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনাকে চারটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো বলছি। 

এক,

 বাজারে পাওয়া জীবাণুনাশক কোন কোন তাতে পানি মিশিয়ে দিতে  হয়।পানি মিশানোর সময় দরজা জানলা খোলা রাখবেন অথবা ভালো  আলো বাতাস আছে এমন জায়গা বেছে নিবেন। 

দুই ,জীবাণুন আসুক স্প্রে না করার পরামর্শ দিচ্ছে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্প্রে করলে অনেক জায়গা পরিষ্কার নাও হতে পারে আর স্প্রে করলে সেটা চোখ, শ্বাসনালী ,চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। 

জীবাণু নাশকে একটা কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে সে কাপড় দিয়ে জিনিসপত্র পরিষ্কার করবেন।আগেই বলেছি এই সময় অবশ্যই রাবারের গ্লাভস পড়ে নেবেন। 

তিন , যা পরিষ্কার করছেন খেয়াল রাখবেন সেটা যাতে  অন্তত  এক মিনিট জীবাণুনাশক  দিয়ে ভেজা থাকে। না, হলে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হবে না। এই সময়টাকে বলে কন্টাক্ট টাইম।এ জীবাণুনাশক  ব্যবহার করছেন দেখে নেবেন এটার গায়ে লেখা কন্টাক্ট টাইম ভিন্ন কিনা। ভিন্ন হলে সে অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। তারপর ফ্যান ছেড়ে শুকিয়ে নিবেন। শুকানোর আগ পর্যন্ত এবং জীবাণুনাশকের গন্ধ যাওয়ার আগ পর্যন্ত, সেখান থেকে অন্য মানুষ, ছোট বাচ্চা আর পোষা প্রাণী দূরে রাখবেন। 

৪ , বাসায় করোনা রোগী থাকলে আশপাশ যা দিয়ে পরিষ্কার করছেন সে গুলো অন্য জায়গা পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করবেন না। বালতি নে্কড়া যে জীবাণুনাশক ভিজে পরিষ্কার করছেন সব আলাদা। বাসা জীবাণুমুক্ত করার পরে গ্লাভস খুলে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। যদি সার্জিক্যাল মাক্স  ব্যবহার করে থাকেন সেটা খুলে ফেলে দেবেন।

নিরাপদ এ থাকবেন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Call Now Button