কোন খাবার করোনা ধ্বংস করে?

কোন খাবার করোনা ধ্বংস করে

আমি তিনটি পরামর্শ তুলে ধরবো। করোনা সিমটম হলে কিভাবে নিজের যত্ন নিবেন। বিশেষ করে কি খাবার খেতে পারেন।একটা বিষয় ক্লিয়ার করে নিতে চাই। এমন কোন খাবার নেই যেটা করো না ধ্বংস করতে পারে। আমরা সবাই ভয়ে আছি একটা সমাধান খুঁজছি হন্য হয়ে। কোন নির্ভরযোগ্য গবেষণাতে এমন তিনটি পাঁচটি বা দশটি খাবার পাওয়া যায়নি যা খেলে আপনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। এমনও খাবার পাওয়া যায়নি যেটা না খেলে আপনার করোনা সারবে না। এখন আমি তিনটি পরামর্শ তুলে ধরব।

এক, ওয়েলব্যালেন্সডায়েট বা সুষম খাবার। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফ্রেশ খাবার খেয়ে  আপনার শরীরে ভিটামিন মিনারেল প্রোটিন ফাইবার ইত্যাদির নিয়ে নিবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কম্বিনেশন এর খাবার খেলে  সেটা ব্যালেন্স ডায়েট হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে

প্রতিদিন দুই কাপ ফল আড়াই কাপ সবজি, ১৮০ গ্রাম শস্য দানা। ১৬০ গ্রাম মাংস অথবা ডাল। কিংবা শিম জাতীয় খাবার খেতে। অনেক সময় এত স্পেসিফিক পরামর্শ দেখলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। বলি যে এত মেপে মেপে খাওয়া সম্ভব না। এক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখা ভালো। আপনি যদি এই পরামর্শ শতভাগ মানতে নাও পারেন,যত কাছাকাছি যাবেন ততই আপনার শরীরের জন্য ভালো। সবজি রান্নার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘসময় রান্না না করা। তাতে ভিটামিন লস হতে পারে।

কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

এখন আসি কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন। তেল চর্বি চিনি জাতীয় খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলবেন।। একটা কৌশল শিখে রাখা উচিত সেটা হল আগামীকাল কি খাবেন সেটা আজকে চিন্তা করে রাখা। এতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সহজ হয়।। 

এতক্ষণ বলেছি সুষম খাবার আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে এই ক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রম আছে সেটা নিয়ে দ্বিতীয় পয়েন্ট। 

ভিটামিন ডি,

ভিটামিন ডি তৈরি করতে প্রয়োজন সূর্যের আলো।,ঘরের ভিতরে বহুদিন আটকে থাকায় অনেকেই সূর্যের আলো না, পাইলে সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায়।তাই ভিটামিন ডি আলাদা করে খেতে পারেন এন এইচ এস পরামর্শ দিচ্ছেন দশ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন ডি হাওয়া যেতে পারে। 

ডক্টর এর থেকে বেশি খেতেও পরামর্শ দিতে পারেন,তবে নিজের ইচ্ছায়  খেতে যাবেন না। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আবারো বলি ভিটামিন ডি করোনা সারাবে এর জন্য এই পরামর্শ না। 

আপনার শরীরে এর ঘাটতি থাকতে পারে সেটা পূরণের জন্য এই পরামর্শ। 

তিন ,বিশ্রাম আর পানি,

পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে আর পানি শূন্যতা রুখতে হবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে দিনে 8 থেকে 10 কাপ পানি খেতে। আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাচ্ছেন কিনা সেটা বোঝার একটা উপায় হল আপনার প্রসাবের রং দেখা,রং যদি গারো  হলুদ হয় তার মানে আপনি ওয়েল হাইড্রেটেড না। 

যদি বমি বা ডায়রিয়া হয় সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে। বমি আর ডায়রিয়া ও করোনা রোগের লক্ষণ। সে ক্ষেত্রে আরও সচেতন ভাবে পানি শূন্যতা এড়িয়ে চলতে হবে। 

সুস্থ থাকবেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Call Now Button