Category: Coronavirus

  • করোনা হলে বাসায় যেভাবে চিকিৎসা করবেন

    করোনা হলে বাসায় যেভাবে চিকিৎসা করবেন

    করোনা লক্ষণ দেখা দিলে বাসায় রোগীর ব্যবস্থাপনা কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে আজকে এ টু জেড একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। কি ওষুধ খাওয়াবেন? কিভাবে বুঝবেন রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক? গুরুতর দিকে যায়নি এখনো ,কোন খাবার দিবেন ,কোন খাবার গুলো এড়িয়ে যাবেন,কোন যন্ত্র সাথে রাখবেন, কিভাবে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করবেন? আর কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে,এসবগুলো বিষয় একসাথে থাকবে।

    করণা রোগীর  ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক পরামর্শ দেখা যাচ্ছে যা বিজ্ঞানসম্মত নয়।

    আমি শুধু বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ তুলে ধরব। 

    শুরুতে বলছি করোনা হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? 

    ১, টেস্ট করার মাধ্যমে যদি পজেটিভ ফলাফল আসে, 

    ২, টেস্ট করার সুযোগ নেই তবে করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে করোনা যে হয়েছে নিশ্চিত নয় তবে একই সাবধানতার অবলম্বন করা প্রয়োজন। হতেই পারে আপনার করোনা হয়নি।তবে সাবধানতা যদি অবলম্বন না করেন ,তবে অন্যকে আক্রান্ত করার সম্ভাবনা বহু গুণে বেড়ে যায়।

    এখন বলব কি ওষুধ খাবেন?

    টেস্টে পজিটিভ এসেছে বা টেস্ট করার সুযোগ নেই,  কিন্তু লক্ষণ দেখা দিয়েছে অথবা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন।এই অবস্থায় কি ওষুধ খাওয়া যাবে? কোরোনার ঔষধ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে করোনার যে উপসর্গ গুলো দেখা দেয়,তার ওষুধ আগেই আবিষ্কার হয়েছে। তাই করোনার যে ওষুধ দেয়া হয় লক্ষণ বা উপসর্গ অনুযায়ী।  জ্বর হলে জ্বরের ওষুধ,কাশি  থাকলে কাশির ওষুধ,অক্সিজেন কমে গেলে অক্সিজেন। শ্বাস কষ্ট শুরু হলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা। 

    প্রথমেই বলছি জ্বর নিয়ে,

    যদি গায়ে জ্বর থাকে আপনাকে অস্বস্তি লাগে তাহলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এটা একটা over the counted  ঔষধ অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সব দেশে এটা  পরিমিত পরিমাণে কেনা যায় ও সেবন করা যায়। বয়স অনুযায়ী প্যারাসিটামল এর ডোজ নিতে হবে। ঔষধ এর প্যাকেটে এটা লেখা দেখতে পারবেন,অতিরিক্ত সেবন করবেন না। 

    এখন বলছি কাশির ব্যবস্থাপনা নিয়ে,

    যদি কাশি হয় এক চা চামচ মধু খেয়ে দেখতে পারেন। চিৎ হয়ে না শুয়ে এক কাত হয়ে শুবেন  সোজা হয়ে বসবেন।তারপরে যদি দেখেন কাশির  কারণে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে,তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।আর মনে রাখবেন করোনাই কিন্তু বেশ অনেকদিন কাশি থাকবে।ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আর কোন ওষুধ সেবনের প্রয়োজন নেই। 

    এই কথাতে অনেকে মনে ক্ষুন্ন হতে পারেন।যেমন প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোন ওষুধ কেন দিচ্ছে না। ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারটা হালকাভাবে নিবেন না। করোনা রোগ সারাবে এমন কোন ওষুধ পাওয়া যায়নি,আর প্রতিটা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।তাই আসি শতাংশ করোনা রোগী কোন বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়।একটা ওষুধ রোগ সারাতে কাজ করে কিনা,রোগীর শরীরে কোন ক্ষতি করে কিনা কয়েক ধাপে সূক্ষ্ম গবেষণার পরেই বোঝা যায়।করোনা একটা ভাইরাস। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ যুদ্ধ করে ব্যাকটেরিয়ার সাথে।ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া দুইটা ভিন্ন জিনিস। ভাইরাসের কারণে জ্বর হলে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তবে ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষা করার  পরে যদি মনে করে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত ভাইরাস নয়, অথবা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া দুইটা ধারে আক্রান্ত হয়েছেন তখন তিনি আপনাকে এন্টিবায়োটিক লিখে দিবেন। মোটকথা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল বাদে আর কোন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

    এখন কথা বলব অক্সিজেন কমে যাওয়া নিয়ে। 

    অক্সিজেন কমে গেলে অধিকাংশ সময় রোগীর  শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।তবে কিছু কিছু সময় শ্বাস কষ্ট শুরু হওয়ার আগেই রোগীর অবস্থা মারাত্মক হয়ে যায়। তাই করোনা রোগীর অক্সিজেনটা নিয়মিত মাপাটা গুরুত্বপূর্ণ। অক্সিজেন মাপার জন্য যে যন্ত্রটা  ব্যবহার করতে হয় তার নাম পালস অক্সিমিটার।এখন একটা প্রশ্ন করব,প্রশ্নটা হল

    রোগী যে ঠিকঠাক অবস্থায় আছে এটা কিভাবে বুঝব? কখন হাসপাতালে নিতে হবে? কোন বিষয়টিকে খেয়াল রাখব?বাসায় করোনা হলে আমরা উৎকণ্ঠায়  থাকি রোগী ঠিকঠাক আছে কিনা ,অবস্থা খারাপের দিকে গেছে কিনা। রোগী  ঠিক অবস্থায় আছে জানতে পারলে মনে অনেক সাহস আসে।তাই এই প্রশ্নটির উত্তর মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

    রোগীর জ্বর কাশি আছে বা অন্যান্য মৃদু উপসর্গ আছে তোদের রোগী ভালো আছে ,খাওয়া দাওয়া করছে,অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক আছে, অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস থাকলে সেটা কন্ট্রোলে আছে তাহলে ধরে নিবেন রোগী  ঠিকঠাক অবস্থায় আছে এবং বাসাতেই পরিচর্যা চালানো যাবে।তবে জানা থাকা লাগবে কখন রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে এবং সেই লক্ষণ গুলো কি কি।

    যে লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে। আমি একটা নিয়ে এখানে বিশেষভাবে বলছি সেটা হল শ্বাসকষ্ট। 

    রোগের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হলে কিছুক্ষণ তো সময় লাগে,সে সময় সঠিক পদক্ষেপ গুলো কি কি হবে,বাসা থেকে রোগীকে শ্বাস কষ্টের কোন চিকিৎসাটি শুরু করতে পারেন।

    এখন বলবো  কোন খাবারটি খেতে হবে।আদা,লেবু ,তেজপাতা মিশিয়ে গরম পানি এক ঘন্টা পর পর খেলে করোনা নেগেটিভ নাকি ৫  দিনে হয়।এমন পরামর্শ অনেকের দিচ্ছে। গরম পানির ভাব,আদার চা,বা মশলা চা,রসুন ,এলাচ দারচিনি,মনে করেন রান্না করে যা যা পাওয়া যায় এসব নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিয়ম চালু হয়ে গেছে। তবে এগুলা করোনা সারাবে এমন কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এগুলো আপনাকে আরাম দিতে পারে। তবে করোনা সারাতে কার্যকর এমন কোন প্রমাণ নেই। আপনার যদি গরম পানি খেতে আরাম লাগে তবে খাবেন। আপনার ভালো লাগলে এগুলো খেতেই পারেন কোন সমস্যা নাই। ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ,ইত্যাদি কি খেতে হবে? 

    প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের তাজা খাবার খেলে সেখান থেকে  আপনার শরীর  প্রয়োজনীয় ভিটামিন,মিনারেল নিয়ে নেবে। 

    একটা ব্যতিক্রম হচ্ছে ভিটামিন ডি,যা তৈরি করতে শরীরে সূর্যের আলো প্রয়োজন।অনেকদিন রোদে যেতে পারেননি লকডাউনের জন্য বা করোনা লক্ষণে  এখন এক রুমে আটকে আছেন রোদ পাওয়ার উপায় নাই সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে তখন ভিটামিন ডি টা শুধুমাত্র আলাদা করে খেতে পারেন। আপনি পুষ্টিকর কোন খাবার খেতে পারছেন, নিয়মিত শাকসবজি,ফলমূল খাচ্ছেন,দিনে রোদ পোহাচ্ছেন,তখন আলাদা করে কোন ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন নেই।শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে শুধু প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন খেলে উপকারে আসবে। 

    তাহলে কি খাবেন? 

    খেতে হবে সুষম খাবার। প্রতিদিন দুই কাপ ফল,আড়াই কাপ সবজি ,এক কাপ শস্য দানা,এক কাপ মাংস বা ডাল শিম জাতীয় খাবার হচ্ছে সুষম খাবার। এত মেপে মেপে কি খাওয়া যায়?

     যতটা কাছাকাছি যেতে পারেন ততটাই ভালো। 

    শাকসবজি ফলমূল বেশি খাবেন ,ভাজাপোড়া,আর খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি।

    তেল চর্বি, চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করবেন।ফুসফুস ভালো রাখার জন্য ধূমপান পরিহার করবেন। 

    দিনে 8 থেকে 10 কাপ পানি খাবেন। যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাচ্ছেন কিনা সেটা বোঝার জন্য একটা উপায় হল প্রসাবের রং দেখা। প্রসাবে রং  যদি গারো  হলুদ হয় তারমানে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাচ্ছেন না। যদি বমি বা ডায়রিয়া হয় সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে এবং অনেক সচেতন ভাবে পানি শূন্যতা এড়িয়ে চলতে হবে। 

    একটা থার্মোমিটার রাখতে পারেন জ্বর মাপার জন্য। বাসায় অন্যদের মাঝে করোনা  না ছড়ায়সে ক্ষেত্রে বাসায় নিজেকে এক রুমে আটকে রাখুন দরজা বন্ধ করে রাখুন,খাবার খাবেন রুমের ভিতরে।তবে যদি কারণে রোগের সামনে যেতেই হয় তবে সার্জক্যাল মাক্স  ব্যবহার করে যাবেন। যার আপনাকে সেবা দিচ্ছে তারাও আপনার সংস্পর্শে আসার জন্য সার্জকাল মাক্স  পরে নিবেন।সম্ভব হলে বাথরুম আলাদা করে ফেলবেন। আর যদি সম্ভব না হয় তবে অন্নরা ব্যবহার করার পরে আপনি বাথরুম ব্যবহার করবেন। কতদিন ব্যবহারের পরে আপনি যে জায়গা গুলো হাত দিয়ে ধরেছেন এই জায়গা গুলো পরিষ্কার করতে হবে। গ্লাস,প্লেট ,চাদর ,তোয়াল ,ইত্যাদি সব আলাদা করে ফেলুন। সেগুলো কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না। নিজের রুম আর বাথরুম প্রতিদিন নিজের পরিষ্কার করুন। এসব জায়গা বেশি বেশি স্পর্শ করেছেন যেমন টেবিল, দরজা  হাতল ইত্যাদি পরিষ্কার করেন। আর বারবার হাত ধুতে হবে। হাত না দিলে হাত দিয়ে ভাইরাস ছড়াবে।পুষ্টিকর খাবার খাবেন,ধূমপান করবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না,নিয়মিত অক্সিজেন মাপবেন আর খেয়াল রাখবেন রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে কিনা।

    নিরাপদে থাকবেন।

  • করোনা থেকে বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার সহজ উপায়|

    করোনা থেকে বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার সহজ উপায়|

    আপনার বাসায় যদি করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ে বা ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে কিভাবে বাসা জীবাণুমুক্ত করবেন? 

    এ বিষয়টিকে দুইটি ভাগে ভাগ করে খুব সহজ ভাবে তুলে ধরব। 

    শুরু করার আগে হাতে রাবারের গ্লাভস পড়বেন।

    পা ঢেকে থাকে এমন সু পড়ে নেবেন। আর গায়ে একটা ওয়াটার প্রুফ জামা যেমন রেইনকোট পড়ে নেবেন। 

    এগুলোর বাইরে আরো কিছু সাবধানতার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন চোখে মুখে ছিটা আসার সম্ভাবনা থাকলে একটা সার্জিকাল  মাক্স পড়ার আর চোখের জন্য চশমা ব্যবহার  পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা।

    এর কোন টা না থাকলে বাসায় সাবধানতা সহ কাজ করবেন,বাসায় পাওয়ার ছাড়া চশমা থাকলে সেটা ব্যবহার করতে পারেন,যত বড় চশমা তত সুরক্ষার সম্ভাবনা বেশি। 

    এখন বলবো জীবাণুমুক্ত করার দুইটি ধাপ। 

    প্রথম ধাপ হচ্ছে ক্লিনিং বা পরিষ্কার করা। জায়গা গুলো কে সাবান পানি দিয়ে বা ডিটারজেন্ট পানি  দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে।যে জায়গা পরিষ্কার করবেন সেই জায়গা ধুলাবালি থাকলে সেখানে জীবাণু নাশকের কার্যবলি ঠিক মত সম্পন্ন হয় না।ধরেন আপনি দরজার হাতল পরিষ্কার করছেন,তখন দরজার  এবং জীবাণুনাশক এর মাঝে একটা পর্দা বা বাধা হিসেবে কাজ করবে সেই ধুলোবালি।সেটা জীবাণুনাশক কে  নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। মনে রাখবেন সব ধুলাবালি কিন্তু আমরা চোখে দেখতে পাই না।

    মোট কথা আগে পরিষ্কার করে না নিলে জীবাণুনাশক  ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না।তার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। পরিষ্কার করার সময় দুইটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। 

    এক ,যেখানে ময়লা বেশি দেখা যাচ্ছে এটা আগে পরিষ্কার করা যাবে না। সবচেয়ে কম ময়লা থেকে বেশি ময়লার দিকে আসতে হবে।

    উপরে জিনিস পরিষ্কারের পরে নিচের দিকে আসতে হবে যেমন আগে টেবিল পরিষ্কার করে ফ্লোর পরিষ্কার করবেন। প্রথম ধাত শেষ এখন আসছি দ্বিতীয় ধাপ। 

    ডিসিনফ্যাক্ট করা বা জীবাণুমুক্ত করা। 

    এই ধাপে জীবাণুগুলো নিষ্ক্রিয় হবে। জীবাণুনাশক  আপনি বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন অথবা বাসায় বানিয়ে নিতে পারেন। জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনাকে চারটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো বলছি। 

    এক,

     বাজারে পাওয়া জীবাণুনাশক কোন কোন তাতে পানি মিশিয়ে দিতে  হয়।পানি মিশানোর সময় দরজা জানলা খোলা রাখবেন অথবা ভালো  আলো বাতাস আছে এমন জায়গা বেছে নিবেন। 

    দুই ,জীবাণুন আসুক স্প্রে না করার পরামর্শ দিচ্ছে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্প্রে করলে অনেক জায়গা পরিষ্কার নাও হতে পারে আর স্প্রে করলে সেটা চোখ, শ্বাসনালী ,চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। 

    জীবাণু নাশকে একটা কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে সে কাপড় দিয়ে জিনিসপত্র পরিষ্কার করবেন।আগেই বলেছি এই সময় অবশ্যই রাবারের গ্লাভস পড়ে নেবেন। 

    তিন , যা পরিষ্কার করছেন খেয়াল রাখবেন সেটা যাতে  অন্তত  এক মিনিট জীবাণুনাশক  দিয়ে ভেজা থাকে। না, হলে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হবে না। এই সময়টাকে বলে কন্টাক্ট টাইম।এ জীবাণুনাশক  ব্যবহার করছেন দেখে নেবেন এটার গায়ে লেখা কন্টাক্ট টাইম ভিন্ন কিনা। ভিন্ন হলে সে অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। তারপর ফ্যান ছেড়ে শুকিয়ে নিবেন। শুকানোর আগ পর্যন্ত এবং জীবাণুনাশকের গন্ধ যাওয়ার আগ পর্যন্ত, সেখান থেকে অন্য মানুষ, ছোট বাচ্চা আর পোষা প্রাণী দূরে রাখবেন। 

    ৪ , বাসায় করোনা রোগী থাকলে আশপাশ যা দিয়ে পরিষ্কার করছেন সে গুলো অন্য জায়গা পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করবেন না। বালতি নে্কড়া যে জীবাণুনাশক ভিজে পরিষ্কার করছেন সব আলাদা। বাসা জীবাণুমুক্ত করার পরে গ্লাভস খুলে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। যদি সার্জিক্যাল মাক্স  ব্যবহার করে থাকেন সেটা খুলে ফেলে দেবেন।

    নিরাপদ এ থাকবেন

  • করোনায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন।

    করোনায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন।

    প্রথম পদক্ষেপ হলো যাচাই করে দেখা আপনার শ্বাস কষ্টটা ক্ষণস্থায়ী শ্বাসকষ্ট কিনা?

    ক্ষণস্থায়ী শ্বাসকষ্ট টা অনেক কারণে হতে পারে যেমন প্যানিক অ্যাটাক, এটা তেমন উদ্বেগ এর কারণ নয়।  শ্বাসকষ্টটা ক্ষণস্থায়ী কিনা এটা যাচাই করার জন্য আপনাকে তিনটা ছোট ছোট কাজ করতে হবে,

    প্রথমে একটা ঠান্ডা জায়গায় যাবেন, বাসায় থাকলে রুমের জানালাগুলো খুলে দিবেন। তারপরে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়বেন ,এমন ভাবে ছাড়বেন যেন আপনি একটা মোমবাতি নেভাচ্ছেন। এটা করতে করতে একটা চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন মেরুদন্ডটা টানটান করে, কুঁজো  হয়ে বসবেন না। কাধ দুটো আরাম করে ছেড়ে দিবেন। হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে একটু সামনে ঝুকে আসবেন।

    এই পদক্ষেপ  গুলো নিয়ে দেখেন আস্তে আস্তে  আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা। 

    যদি স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে সচারচর বিশেষ কোনো চিন্তার কারণ থাকে না তবে ব্যতিক্রম হতে পারে। সেটা দ্বিতীয় ধাপে বলছি। 

    এই দ্বিতীয় পদক্ষেপ এ  সিদ্ধান্ত নিবেন হাসপাতালে যাওয়ার  প্রয়োজন কিনা। 

    দ্বিতীয় ধাপে তিনটা ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলব। প্রথম ২ টা   পরিস্থিতি যাদের বাসায় পালস অক্সিমিটার আছে তাদের জন্য।তৃতীয়  পরিস্থিতি  যাদের বাসায় পালস অক্সিমিটার নাই তাদের জন্য। 

    এক ,যদি বাসায় পালসঅক্সিমিটার থাকে সেটা দিয়ে আপনারা অক্সিজেনটা মেপে দেখবেন। 

    অক্সিজেনের পরিমাণ যদি 94 এর কম থাকে তাহলে আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে ,তখন আপনার শ্বাসকষ্ট থাকুক বা না থাকুক। তবে যদি আপনার স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন টা কম থাকে ফুসফুসে রোগের কারণে বা অন্য কারণে তবে ৯৪ আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়। 

    দুই , অক্সিজেন দিয়ে মেপে দেখলেন ৯৪ এর উপরে আছে কিন্তু রোগীর শ্বাসকষ্ট কমছে না।তাহলেও হাসপাতালে যেতে হবে ,করোনা আসার আগেও রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হতো সেটা এখনো একই। 

    তিন ,বাসায় যদি পালস অক্সিমিটার  না থাকে তবে রোগীর শ্বাসকষ্ট না কমলে হাসপাতালে যেতে হবে। 

    এখন আসছি তৃতীয় পদক্ষেপে।

     যদি দেখেন আপনার অক্সিজেন 94 এর চেয়ে কম অথবা আপনার শ্বাসকষ্ট থামছে না ,কমছে না।তাহলে তো আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে। যতক্ষণে আপনার জন্য হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়েছে ততক্ষণ আপনি আরেকটা কাজ করতে পারেন আপনার ফুসফুসের উপকারের জন্য।যেটাকে আমরা বলি প্রোনিং সহজ বাংলায় বললে উপর হয়ে শুয়ে থাকা। ইংল্যান্ডে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর এটা প্রয়োগ করা হয়েছে। আমাদের দেশে করোনা রোগীদের এটা চালু করা আছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত সম্ভব হলে আপনারা এটা বাসায় করতে পারেন। নিয়মটা বলে দেই ,মোট চারটা পজিশন ,

    প্রথমটা হল উপুর র হয়ে শুয়ে থাকা। তারপরে হচ্ছে ডান কাঁধ হয়ে শোয়া। তিন নাম্বারটা হচ্ছে বালিশে হেলান দিয়ে বসা। একদম উঠে বসে পড়া না,আবার চিত হয়ে সোয়া না।বিছানা থেকে ৩০ থেকে ৬০ ডিগ্রি কোণ করে শোয়া। আর শেষটা হচ্ছে বাম কাঁধ হয়ে শোয়া। তাহলে কি হলো? 

    উপুর ,ডান,হেলান ,বাম এক একটাতে অন্তত আধাঘন্টা করে থাকতে হবে। চারটাতে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চালাবেন। তারপর আবার জায়গা বদলাবেন। 

    কখন এই প্রনিং করা যাবে না? 

    আসলে প্র্নিং একটা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা হয়। যিনি দেখেন এটা রোগের জন্য উপযোগী কিনা। আগেই বলেছি যেহেতু সময় লাগছে হাসপাতাল খুঁজে পেতে । সেজন্যই এগুলো আপনাদের কে বলা ।যদি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন সাথে সাথে তখন তো ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা চলবে।

    এখন বলব কখন প্রোনিং  থেকে বিরত থাকবেন।

    যদি প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হয়, এটা আসলে বোঝানো কঠিন। তারপরও বোঝানোর চেষ্টা করছি রোগী মিনিটে শ্বাস নিচ্ছে ৩৫পারের বেশি। বা শ্বাস নিতে  অন্যান্য মাংসপেশি ব্যবহার করছে।

    এক , পাঁজরের মধ্যে চামড়া ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। গলার মাংসপেশি ফুলে উঠেছে ইত্যাদি।

    দুই ,রোগী খুব উত্তেজিত অবস্থায় আছে বা কনফিউস অবস্থায় আছে।

    তিন ,ব্লাড প্রেসার ৯০ এর নিচে নেমে গেছে।

    চার ,রোগীর হার্টের রিদমে সমস্যা আছে।

    পাঁচ রোগীর মেরুদন্ড স্টেবল না। বুকে ইনজুরি আছে বা কিছুদিন আগে পেটের অপারেশন হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রোনিং করা যাবে না।

    আর কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

    রোগী যদি তিন মাসের বেশি গর্ভবতী হন ,শরীরের ওজন অনেক বেশি হলে। শরীরে ঘা হয়ে থাকলে। মুখমণ্ডলে ইনজুরি থাকলে। খিচুনি রোগ বাই স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য রোগ থাকলে। 

    নিরাপদে থাকবেন।

  • করোনায় ঘ্রাণশক্তি হারালে কী করবেন?

    করোনায় ঘ্রাণশক্তি হারালে কী করবেন?

    করোনায় ঘ্রাণশক্তি হারালে কী করবেন??

    ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস দ্বারা ইনফেকশন। করোনা একটা ভাইরাস। করোনার বিস্তর প্রাদুর্ভাবের কারণে ধরে নিতে হবে আপনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    শুধু ঘ্রাণশক্তি হারালে হাসপাতালে যাওয়া জরুরি নয়। কীভাবে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন এবং কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা নিয়ে এই লেখাটি।

    করোনা রোগের কারণে যারা ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছেন তাদের জন্য কোন চিকিৎসা কার্যকরী, সে ব্যাপারে এখনো আমরা নিশ্চিত নই। তবে করোনা আসার আগেও বেশ কিছু ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে মানুষ ঘ্রাণ শক্তি হারিয়েছেন। আমি যেই চিকিৎসার কথা বলছি সেটা সেই রোগীদের ঘ্রাণশক্তি ভালো করাতে কাজ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা রোগীদের ঘ্রাণশক্তি বাড়াতে এই চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

    সুচিপত্র

    চিকিৎসা

    সাবধানতা

    চিকিৎসাটা কী? 

    নিয়ম করে দিনে অন্তত দুই বার চার প্রকারের জিনিসের ঘ্রাণ শুকবেন। অর্থাৎ ঘ্রাণ নিয়ে নিয়ে নিজেকে প্রশিক্ষণ দিবেন।

    কীসের ঘ্রাণ নিবেন?

    লেবু, লবঙ্গ, গোলাপ আর ইউক্যালিপটাস। 

    লেবু আর লবঙ্গ রান্নাঘরেই পাবেন। গোলাপ আর ইউক্যালিপটাস হয়তো রান্নাঘরে পাবেন না। গোলাপের বদলে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন যা রান্নাঘরেই থাকবে। দেশে ইউক্যালিপটাস পাওয়া একটু কঠিন। তবে ইউক্যালিপ্টাসের তেল পাওয়া যায় বিভিন্ন দোকানে। সেটা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে সাথে লবঙ্গের তেল ও নিয়ে নিতে পারেন।

    কীভাবে ঘ্রান নিবেন?

    এই চারটা জিনিসের প্রতিটার ঘ্রাণ নিতে হবে বিশ সেকেন্ড করে। অন্তত দিনে দুইবার করে করবেন। কমপক্ষে তিন মাস ধরে চালিয়ে যাবেন। 

    মোট কথা, চার প্রকারের ঘ্রাণ শুকতে হবে। প্রতিটা ঘ্রান বিশ সেকেন্ড ধরে। দিনে কমপক্ষে ২ বার, অন্তত তিন মাস।

    সাধারণত রোগীদের এসব ঘ্রাণযুক্ত শিশি দিয়ে দেয়া হয়। তারা সকাল বিকাল এগুলো থেকে ঘ্রাণ নেন। আপনি বাসায় যেন এই কাজটা শুরু করতে পারেন, আমি এমন উপায়ের কথা বলছি। তবে আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ পেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তার কথা শুনবেন। তার পন্থা মত চিকিৎসা চালাবেন। 

    ২ সপ্তাহের মধ্যে অনেক করোনা রোগী ঘ্রাণ শক্তি ফিরে পান কোন ধরনের চিকিৎসা ছাড়া। যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিরে না আসে, তখন এই উপায়গুলো অবলম্বন করবেন।

    যারা নাকে ঘ্রাণ পাচ্ছেন না, তাদের জন্য আর দুইটা সাবধানতার কথা  

    আপনারা ভুল করে পচা খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন। খাবার নষ্ট হয়ে গেছে এটা আমরা সাধারণত বুঝি পচা গন্ধ দিয়ে। যাদের ঘ্রাণ শক্তি নাই, তারা এটা বুঝবেন পচা খাবার খেয়ে ফেলার পরে। ততক্ষণে কিন্তু জীবাণু জায়গা মত পৌঁছে গেল। আমরা যেই সময়টা পার করছি, সেটা অসুস্থ হওয়ার জন্য বড় দুঃসময়। তাই এই ব্যাপারে খুব সাবধান। খাবারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার তারিখ দেওয়া থাকলে সেটা দেখে নিবেন। বাসি খাবার পারতপক্ষে না খাওয়াই ভালো, যদি নিশ্চিত না হতে পারেন খাবারটা ভালো।

    আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে ঘ্রাণশক্তি না থাকলে, কোনভাবে আগুন লাগলে বা কিছু পুড়তে থাকলে, আপনি ধোয়ার গন্ধ নাও পেতে পারেন। তাই এই ব্যাপারে সাবধান থাকবেন। বাসায় পারলে আগুনের ধোঁওয়া সনাক্ত করতে পারে এমন একটি যন্ত্র (smoke detector) লাগিয়ে নিবেন। 

    মনে রাখবেন যে আপনার যা স্বাভাবিক ঘ্রাণশক্তি, তা বদলে যাওয়া অথবা হারিয়ে ফেলা করোনার একটা লক্ষণ। আর কোন লক্ষণ না থাকলেও আপনাকে সকল সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাসায় থাকতে হবে। তবে উদ্বিগ্ন হবেন না। আপনি সুস্থ আছেন, শুধু ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন – সেটা খুব দুশ্চিন্তার কারণ নয়।

  • করোনার যে লক্ষণটি সবচেয়ে মারাত্মক |

    করোনার যে লক্ষণটি সবচেয়ে মারাত্মক |

    একটা বাস্তব ঘটনা বলে শুরু করি,ষাটঊর্ধ্ব একজন লোক ৯ দিন ধরে তার জ্বর কাশি হয়েছে। একটু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এক আত্মীয় ডাক্তারের কাছে কল করে পরামর্শ চাইলেন। আরো বললেন গতকালের চেয়ে আজকে রোগীর ভালো লাগছে,খাবার খেয়েছেন গোসল করেছেন হাসছেন,টিভি দেখছেন। এ আত্মীয়র কন্ঠে তেমন উদ্বেগ ছিল না।  বাসায় এসে ডাক্তার দেখেন রোগী হাসছে ঠিকই কিন্তু ঠোঁট নীল হয়ে গেছে। মেপে দেখেন রোগীর অক্সিজেন মাত্র ৬৬। যেখানে থাকার কথা ৯৫। 

    আর দেরি না করে ডাক্তার সাথে সাথে অক্সিজেন দিলেন অ্যাম্বুলেন্স ডাকলেন,হাসপাতালে পৌঁছানোর মাত্র রোগীকে নেয়া লাগে ভেন্টিলেটারে । এটা কোন গল্প কাহিনী না, নরওয়েতে ঘরটা সত্য ঘটনা। 

    তো এখানে কি হলো? 

    রোগীর আশেপাশে যারা ছিলেন কেউই বুঝেনি এত ক্রিটিকাল অবস্থা। নিরবে অক্সিজেন কমে গেছে। 

    করোনাই বেশিভাগ রোগী বাসায় থাকে,কোন লক্ষণ ছাড়া যদি অক্সিজেন লেবেল কমতে   থাকে তাহলে বুঝে ওঠার আগে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যতক্ষণে  শ্বাস কষ্ট শুরু হয় তার আগে অক্সিজেন অনেক কমে যায়। হাসপাতালে আনতে আনতে দেখা যায় অনেক দেরি হয়ে গেছে। 

    গল্পে যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির কথা বললাম তা এড়ানোর একটা উপায় হল। 

    বাসায় নিয়মিত অক্সিজেন মেপে দেখা। 

    আমরা থার্মোমিটার দিয়ে যেমন জ্বর মাপি,

    রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপার জন্য একটা সিম্পল যন্ত্র আছে নাম পালস অক্সিমিটার।

    অনেকে হয়তো এই যন্ত্রের সাথে পরিচিত, কোন সুই ফোটাতে হয় না,সহজে অক্সিজেন মেপে নেয়া যায়। যারা করোনা লক্ষণ নিয়ে বাসায় আছেন তাদেরকে পরামর্শ দিব একটা পালস অক্সিমিটার সাথে রাখার। 

    ভালো দেখে মেডিকেল গ্রেডের একটা নিবেন।

    অক্সিমিটার  কিভাবে ব্যবহার করবেন আর কখন হসপিটালে যেতে হবে? 

    এই যন্ত্রটার এক পাশে চাপ দিলে আরেক পাশে খুলে যায়,  সেখানে একটা আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিবেন যতটুকু পরিমাণ ঢোকানো যায়, নখটা  উপরের দিকে রেখে। 

    অক্সিমিটারের সুইচটা অন করে নিবেন।

    তারপর কিছু নাম্বার দেখা যাবে শুরুতেই যেটা নাম্বার দেখবেন  সেটা দেখে  ঘাবড়ে যাবেন না। অক্সিমিটারকে কয়েক সেকেন্ড সময় দিন কাজ করার জন্য।

    আপনি বড় বড় দুইটা সংখ্যা দেখতে পারবেন। এক জায়গায় লেখা থাকবে spo2 ।  O2  মানে অক্সিজেন। এই লেখাটার  আশেপাশে যে সংখ্যাটি থাকবে সেটা দিয়ে বুঝবেন আপনার  রক্তের অক্সিজেন এর  পরিমাণ বুঝাচ্ছে। আর আরেকটার বড় সংখ্যার আশেপাশে PR  বা পালস রেট  লেখা থাকবে। এটার মানে হচ্ছে মিনিটে  আপনার হার্ট  কয়বার বিট করছে।

    নিচে যে ঢেউটা আছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ঢেউয়ের সাইজ দেখে বুঝতে পারবেন আপনার আঙ্গুলের রক্ত চলাচল ঠিক আছে কিনা ,অক্সিমিটার ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে কিনা।

    আমি এখন অক্সিমিটারটা পিছন থেকে চাপ দিচ্ছি। অর্থাৎ আমার আঙ্গুলের উপর চাপ পড়ছে রক্ত চলাচল ভালো হচ্ছে না। খেয়াল করে দেখেন ঢেউয়ের সাইজটা কিন্তু কমে গেছে। আবার যখন আমি ছেড়ে দিব তখন ঢেউ এর সাইজটা বড় হয়ে যাবে। যদি কোন কারনে আপনার আঙ্গুলের রক্ত চলাচল ঠিক না থাকে ,আঙ্গুলটা বেঁকে আছে কোথাও চাপ লেগে আছে, তখন ঢেউয়ের সাইজ টা ঠিক থাকবে না,এবং অক্সিমিটারটাও সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। 

    তাই অক্সিমিটারটা ঠিকভাবে পড়তে হবে আঙ্গুল সোজা রাখতে হবে। আর সিগন্যালটা খেয়াল রাখতে হবে,রক্ত চলাচল ঠিক হচ্ছে কিনা। তারপর আপনি যে সংখ্যাটা দেখতে পারবেন সেটা হচ্ছে আপনার একিউরেট রিডিং। 

    অক্সিমিটারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাটি হচ্ছে আপনার রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ।সাধারণত ৯৫ বা তার চেয়ে বেশি থাকে,তার চেয়ে কমে গেলে সেটাকে বলে হাইপোক্সিয়া অর্থাৎ অক্সিজেনের অভাব । 

    ৯০ পর্যন্ত নামলে মায়েল হাইপোক্সিয়া, ধরে নেন এটা শুরুর দিকে বিপদ সংকেত। ৯০ এর নিচে নেমে গেলে মডারেট,রোগী মাঝামাঝি  বিপদে আছে।

    আর ৮০এর নিচে নামলে severe হাইপোক্সিয়া,

    এটা মারাত্মক দুশ্চিন্তার কারণ। 

    অনেক সংখ্যা বলছে কমপক্ষে একটা সংখ্যা মনে রাখেন সেটা হচ্ছে ৯৫। 

    ৯৫ এর  নিচে নামলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

    আরেকটা কারণের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

    অনেক করোনা রোগীর ক্ষেত্রে বসে থাকা অবস্থায় অক্সিজেন স্বাভাবিক থাকে,কিন্তু হাঁটার পরে দেখা যায় অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। 

    এটা কিভাবে বুঝা যাবে? 

    ৪০ কদম হেটে দেখেন অক্সিজেনের পরিমাণ কত থাকে? 

    যদি ৩ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমে যায়, ৯৬ থেকে ৯৩ হয়ে যায় তখন আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে। 

    এই পরীক্ষাটা  করবেন কেবলমাত্র যদি আপনার অক্সিজেন ৯৬ বা তার বেশি থাকে ।এখানে  কিন্তু ৯৫ বলছি না ৯৬ থাকতে হবে।

    যাদের ফুসফুসে বা হার্টের রোগ আছে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলবো। 

    ফুসফুসে বা হার্টের রোগ যাদের আছে তাদের মধ্যে অনেকের অক্সিজেনের পরিমাণ এমনিতেই কম থাকে,দেখা যায় ৮৯  বা ৯০ এটা  তাদের জন্য স্বাভাবিক।

    সুস্থ অবস্থায় অক্সিজেন কত থাকে সেটা জানা থাকলে তো  খুব ভালো।

    না  থাকলে অক্সিমিটার দিয়ে মেপে নিতে হবে। তাদের যেটা স্বাভাবিক তার চেয়ে নিচে নেমে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাদের জন্য যেটা স্বাভাবিক সেটা নিচে নেমে গেলে চিকিৎসকের  শরণাপন্ন  হতে হবে। শেষ করার আগে আবার বলে দেই কখন হাসপাতালে যাবেন।

    অক্সিজেন যদি ৯৫ এর কম থাকে আর 

    ৪০ কদম হাঁটার পরে  যদি তিন পয়েন্ট কমে যায় এবং যাদের  ফুসফুসে বা হার্টের রোগ আছে তাদের জন্য স্বাভাবিক এর চেয়ে কমে যায় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

    নিরাপদে থাকবেন।

  • যেসব করোনা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যাবেন।

    যেসব করোনা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যাবেন।

    করোনার  কোন লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বাসায় থাকবেন আর কোন লক্ষণ দেখা দিলে আপনি দ্রুত হাসপাতালে যাবেন?

    করনা আক্রান্ত বেশির  ভাগ  মানুষই সুস্থ হয়ে ওঠে বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া।হাসপাতালে ভর্তি লাগে না তবে কিছু রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হতেই হয়। তাই আপনার জানতে হবে কোন লক্ষণ থাকলে বাসায় থেকে নিজেই রোগীর পরিচর্যা করবেন আর কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন। 

    যেসব লক্ষণ দেখা দিলে বাসায় থাকবেন সেগুলো আগে বলছি বুঝতে সুবিধা হবে।

    এক, জ্বর ,

    বাসায় থার্মোমিটার থাকলে সেটা দিয়ে মাপবেন।থার্মোমিটার না থাকলে বুকে পিঠে হাত দিয়ে যদি মনে হয় স্বাভাবিক এর চেয়ে গরম তাহলে ধরে নিবেন জ্বর এসেছে। 

    দুই,কাশি

    বেশি ভাত ক্ষেত্রে শুকনো কাশি হয় অর্থাৎ কাশির সাথে কফ বের হয় না। 

    ফুসফুসে বা হার্টের রোগের কারণে এমনিতে যেসব রোগীর কাশি থাকে ,তাদের কাশি স্বাভাবিকের চেয়ে খারাপ হয়ে যায়। 

    তিন,ঘ্রাণশক্তি ও মুখের স্বাদ চলে যাওয়া। 

    এমনিতেই কোভিড রোগী  কোন কিছুর গন্ধ শুকতে পারে না, খাবারের স্বাদ বুঝতে পারেনা অথবা ঘ্রাণ আর স্বাদ আগের চেয়ে ভিন্ন হয়ে যায়। 

    চার, ক্লান্তি 

    শরীর খুব দুর্বল লাগে আরো কিছু লক্ষণ আছে যেগুলা একটু কম দেখা যায় ,সর্দি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া , মাথাব্যথা,গলা ব্যথা বমি ভাব ও ডায়রিয়া, শরীরে আর মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়া ।

    কনজাংটিবাইটিজ বা চোখের ইনফেকশন এটা একটু ব্যাখ্যা করে বলি , কনাইটিংটিবাইটিজ হলে চোখ দুটো লাল হয়ে যায় পুচ বের হয় চোখের পাতা একটা একটার সাথে লেগে থাকে ।এটা সাধারণত কয়েক সপ্তাহে নিজে নিজেই সেরে যায় ।

    শরীরের রেশ উঠতে পারে ,হাতে পায়ের  আঙ্গুলের রং বদলে যেতে পারে ,

    এই সিমটম টা দেখা দেখ দিলে একজন চিকিৎসক দেখায় নেওয়া দরকার,তিনি বলতে পারবেন এটা করোনা নাকি অন্য কিছু।

    এবার একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলছি,

    যে লক্ষণ গুলা বললাম সেগুলো দেখা দেওয়া মানেই করোনা হয়েছে নিশ্চিত না,এর আগেও মানুষের জ্বর সর্দি হতো কিন্তু এখন দেখা দিলে ডাক্তার দেখানো উচিত আর সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে,

    যেমন, বাসার বাইরে না যাওয়া ।

    যদি পরীক্ষা  করার সুযোগ থাকে  তাহলে নিশ্চিত হতে পারবেন।

    হাসপাতালে না যেয়ে বাসায় থেকে পরামর্শ দেওয়া আপনার কাছে খটকা লাগতে পারে ।আমরা সাধারণত অসুস্থ বোধ করলে ডাক্তারের কাছে যেতে বলি কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে উল্টো আসলে হালকা উপসর্গের জন্য আলাদা কোন চিকিৎসা নেই ,হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, বরং  হাসপাতালে গেলে অন্যান্য ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন ।তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে আপনাকে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে ।এখন সেগুলো বলছি,

     শুরুতে বলে দেই এইসব লক্ষণ দেখা দিলে ঘাবড়ে যাবেন না ,মাথায় পরিকল্পনা করেন কিভাবে রোগীকে দ্রুত হাসপাতাল নেয়া যায়।

    এক,  শ্বাসকষ্ট 

    দম আটকে যাচ্ছে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, হাঁটতে গেলে শ্বাস কষ্ট হচ্ছে ।

    দুই ,ঠোট চেহারা নীল হয়ে যাওয়া,

    এর মানে হচ্ছে,আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে গেছে।

    রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা আগেই ধরে ফেলার জন্য বাসায় পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করতে পারেন। অনেক কোভিড রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় না তবে  দেখা যায় অক্সিজেন লেভেল অনেক কম। 

    তিন ,প্রসাব বন্ধ হয়ে যাওয়া বা খুব কমে যাওয়া, এটা কিডনি  আক্রান্ত হবার লক্ষণ। 

    চার , বুকে ব্যথা বা চাপ কাপ লাগা। 

    এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কিংবা শ্বাসকষ্ট হতে পারে,

    বুকে ব্যথা কোনভাবেই ইগনোর করবেন না।

    পাঁচ ,হাত পা ঠান্ডা হয়ে আছে বা খুব ঘামছেন মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে, এটাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট এটাকে সবসময় যে বুকে ব্যথা থাকবে এটা সঠিক না। 

    ছয় ,এমন র‍্যাশ উঠেছে যেটার ওপর গ্লাস  দিয়ে চাপলে মিলিয়ে যায় না, এটা ব্রেনের ইনফেকশন এর লক্ষণ হতে পারে।

    সাত, মুখে  কথা আটকে যাচ্ছে বা হাত পা অবশ হয়ে যাচ্ছে নাড়াতে পারছেন না অনেকেই জানেন এটাই স্ট্রোকের লক্ষণ। 

    আট, কাশির সাথে রক্ত যাচ্ছে। 

    শেষ  যে তিনটা লক্ষণের কথা বলব সেগুলা রোগী হয়তো নিজে বুঝতে পারবে না। রোগীকে যারা সেবা দিবেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে।

    ঝিমোতে থাকা রোগী একেবারেই জেগে থাকতে পারছে না। যে সময় স্বাভাবিকভাবে জেগে থাকতে পারে,ডেকেও জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না ,বারবার ঝিমিয়ে পড়ছে। 

    কনফিউশন, ভুলে যাচ্ছে কিছুই মনে রাখতে পারছে না,যেটা রোগীর জন্য স্বাভাবিক না। আর শেষটা হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে পড়া।এইসব লক্ষণ ছাড়াও অন্য কোন কারনে,মনে হয় রোগীর অবস্থা  দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে,অথবা যাদের অন্যান্য রোগ আছে যেমন, ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি এবং বাসায় সেগুলো  কন্ট্রোল রাখা যাচ্ছে না ,শুরুতে বলেছি,যেসব লক্ষণ দেখা দিলে বাসায় থাকা যাবে সেগুলোর যদি কোনটার  গুরুতর হয়ে যায়,যেমন ধরেন বমি কিছুতেই থামছে না তখন হাসপাতালে যেতে হবে। 

    নিরাপদে থাকবেন।

  • কোন খাবার করোনা ধ্বংস করে?

    কোন খাবার করোনা ধ্বংস করে?

    আমি তিনটি পরামর্শ তুলে ধরবো। করোনা সিমটম হলে কিভাবে নিজের যত্ন নিবেন। বিশেষ করে কি খাবার খেতে পারেন।একটা বিষয় ক্লিয়ার করে নিতে চাই। এমন কোন খাবার নেই যেটা করো না ধ্বংস করতে পারে। আমরা সবাই ভয়ে আছি একটা সমাধান খুঁজছি হন্য হয়ে। কোন নির্ভরযোগ্য গবেষণাতে এমন তিনটি পাঁচটি বা দশটি খাবার পাওয়া যায়নি যা খেলে আপনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। এমনও খাবার পাওয়া যায়নি যেটা না খেলে আপনার করোনা সারবে না। এখন আমি তিনটি পরামর্শ তুলে ধরব।

    এক, ওয়েলব্যালেন্সডায়েট বা সুষম খাবার। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফ্রেশ খাবার খেয়ে  আপনার শরীরে ভিটামিন মিনারেল প্রোটিন ফাইবার ইত্যাদির নিয়ে নিবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কম্বিনেশন এর খাবার খেলে  সেটা ব্যালেন্স ডায়েট হবে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে

    প্রতিদিন দুই কাপ ফল আড়াই কাপ সবজি, ১৮০ গ্রাম শস্য দানা। ১৬০ গ্রাম মাংস অথবা ডাল। কিংবা শিম জাতীয় খাবার খেতে। অনেক সময় এত স্পেসিফিক পরামর্শ দেখলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। বলি যে এত মেপে মেপে খাওয়া সম্ভব না। এক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখা ভালো। আপনি যদি এই পরামর্শ শতভাগ মানতে নাও পারেন,যত কাছাকাছি যাবেন ততই আপনার শরীরের জন্য ভালো। সবজি রান্নার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘসময় রান্না না করা। তাতে ভিটামিন লস হতে পারে।

    কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

    এখন আসি কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন। তেল চর্বি চিনি জাতীয় খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলবেন।। একটা কৌশল শিখে রাখা উচিত সেটা হল আগামীকাল কি খাবেন সেটা আজকে চিন্তা করে রাখা। এতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সহজ হয়।। 

    এতক্ষণ বলেছি সুষম খাবার আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে এই ক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রম আছে সেটা নিয়ে দ্বিতীয় পয়েন্ট। 

    ভিটামিন ডি,

    ভিটামিন ডি তৈরি করতে প্রয়োজন সূর্যের আলো।,ঘরের ভিতরে বহুদিন আটকে থাকায় অনেকেই সূর্যের আলো না, পাইলে সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায়।তাই ভিটামিন ডি আলাদা করে খেতে পারেন এন এইচ এস পরামর্শ দিচ্ছেন দশ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন ডি হাওয়া যেতে পারে। 

    ডক্টর এর থেকে বেশি খেতেও পরামর্শ দিতে পারেন,তবে নিজের ইচ্ছায়  খেতে যাবেন না। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আবারো বলি ভিটামিন ডি করোনা সারাবে এর জন্য এই পরামর্শ না। 

    আপনার শরীরে এর ঘাটতি থাকতে পারে সেটা পূরণের জন্য এই পরামর্শ। 

    তিন ,বিশ্রাম আর পানি,

    পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে আর পানি শূন্যতা রুখতে হবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে দিনে 8 থেকে 10 কাপ পানি খেতে। আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাচ্ছেন কিনা সেটা বোঝার একটা উপায় হল আপনার প্রসাবের রং দেখা,রং যদি গারো  হলুদ হয় তার মানে আপনি ওয়েল হাইড্রেটেড না। 

    যদি বমি বা ডায়রিয়া হয় সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে। বমি আর ডায়রিয়া ও করোনা রোগের লক্ষণ। সে ক্ষেত্রে আরও সচেতন ভাবে পানি শূন্যতা এড়িয়ে চলতে হবে। 

    সুস্থ থাকবেন।

Call Now Button