করোনার লক্ষণে কিছু পরিবর্তন এসেছে।
কিছু লক্ষণ আমরা আগে থেকে অনেক বেশি দেখতে পাচ্ছি ,এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ না জানলে আপনার অবস্থা যদি খারাপ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন না যে কি কারণে অবস্থা খারাপ হচ্ছে। আগে থেকে কোন প্রস্তুতি থাকবে না কোন পরিকল্পনা থাকবে না ,আর না জানা থাকলে অজান্তে আপনি আপনার আপনজন পরিবার পরিজন যারা হয়তো বয়স্ক অন্যান্য অসুস্থতা আছে যার ফলে করোনা অনেক ভয়াবহ হওয়া সম্ভাবনা বেশি। যাদেরকে নিজের অজান্তে করোনাই আক্রান্ত করে ফেলতে পারেন। আচ্ছা, তাহলে লক্ষণগুলোতে আসি।
করোনার যে লক্ষণ গুলো আপনারা সবচেয়ে বেশি জানেন সেগুলো হলো, জ্বর,খুসখুসে কাশি,অর্থাৎ যে কাশির সাথে কফ বের হয় না শুষ্ক কাশি ,কাশি হতে থাকে এমন অবস্থায় কে বোঝায়, আর ঘ্রাণ শক্তি এবং মুখের স্বাদটা বদলে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া। এগুলো এখনো আমরা দেখছি কিন্তু, এগুলোর চেয়ে বেশি কিছু লক্ষণগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি।
এগুলো কি কি?
প্রথমটা হলো মাথা ব্যথা। মাথাব্যথা করনার একদম শুরুর দিকের লক্ষণ। খুব কমই রোগীরা আমাদের কাছে এসে বলছে ১০ জন করনা রোগীর মধ্যে সাতজনই বলেছে যে মাথাব্যথা তাদের লক্ষণ। এখন এখানে একটা সমস্যা হল যে মাথা ব্যাথা খুব কমন একটা সমস্যা। যাদের হয়তো একটু ঘুম কম হয় খিদা লেগে থাকে সময় মতো খাবার গ্রহণ না করলে একটু স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে বা ওয়েদার পাল্টায় তখন অনেকেরই মাথাব্যথা শুরু হয়।সব মাথাব্যথায় করোনার মাথাব্যথা না। কিন্তু মাথা ব্যথা করোনার একটা খুব কমন লক্ষণ।

সাধারণ তো করোনার মাথাব্যথা গুলো মাথার দুই পাশেই হয়,ব্যথা মাঝারি থেকে তীব্র হয় এবং সাধারণত যে ওষুধগুলো খেলে আপনার মাথা ব্যথা কমে এই ঔষধ গুলো এই মাথা ব্যথায় লাভ হয় না। দেশে যেহেতু করোনা খুব বেশি ছড়াচ্ছে তাই মাথা ব্যথা হলে খুব দ্রুত করোনা টেস্ট করিয়ে নেয়া ভালো। দ্বিতীয় যে লক্ষণটা আমরা সবচেয়ে বেশি দেখতে পাচ্ছি সেটা হল গলা ব্যথা। আমরা আগেও গলা ব্যথা দেখতাম কিন্তু এখন জ্বর খুসখুসে কাশি চেয়ে বেশি দেখতে পাচ্ছি গলা ব্যথা।এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে কিন্তু করোনাও একটা কারণ। তৃতীয় যে লক্ষণটা আমরা সবচেয়ে বেশি দেখতে পাচ্ছি সেটা হলো নাকে সর্দি। নাকে সর্দিও ওয়েদার এর কারনে হতে পারে এলার্জির কারণে হতে পারে আবার করোনার কারণেও হতে পারে।
তাহলে তিনটা লক্ষণ কি কি?
মাথা ব্যথা ,গলা ব্যথা ,ও নাকে সর্দি।এখন চিন্তা করেন মাথা ব্যথা গলা ব্যথা ও নাকটে সর্দি হলে আমরা সাধারণত চিন্তা করি হয়তো একটু ঠান্ডা লেগেছে সেটা আমরা খুব সিরিয়াসলি নেই না। এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আমরা কিন্তু সচরাচর চিন্তা করি না করোনার মত একটা ভয়ংকর রোগ হতে পারে। কিন্তু এখন আমরা এই লক্ষণগুলো খুব কমন দেখছি।জ্বর কাশি নাকের ঘ্রাণ হারানো এর চেয়ে বেশি কমন দেখছি। তাই এ লক্ষণ গুলো দেখা দিলে খুব দ্রুত করানোর টেস্ট করে নিবেন। করনা টেস্টটা করালে আপনি যদি দেখেন আপনার করোণা আছে আপনি নিজের জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার। নিজে যে খেয়াল রাখার দরকার সেটা ঠিকভাবে খেয়াল রাখতে পারবেন। আপনার অক্সিজেনটা মাপতে পারবেন এবং আপনার আপনজন পরিবার-পরিজন। তাদেরকেও সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।। যদি নেগেটিভ আসে তাহলে তো ভালো চিন্তা নেই। যদি পজিটিভ আসে তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো একটা ভালো মানের পালস অক্সিমিটার কিনে নেয়া এবং আপনার অক্সিজেন এর রেজাল্ট দিনে কয়েকবার মেপে দেখা।
Leave a Reply