কোন টিকা বেস্ট? 

কোন টিকা বেস্ট,কোন টিকার কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি? কোন টিকা নিলে আমার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে? এমন প্রশ্ন অনেকেই করছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সংক্ষেপে দেয়ার চেষ্টা করব। 

আপনারা বিভিন্ন সময় টিকার কার্যকারিতা শুনেছেন।

ফাইজার এর টিকার কার্যকারিতা শুনেছেন ৯৫ শতাংশ,মর্ডানার টিকার কার্যকারিতা শুনেছেন ৯৪ শতাংশ, অক্সফোর্ডটিকার কার্যকারিতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংখ্যা শুনেছেন। আমরা সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রায়াল থেকে জানি অক্সফোর্ডসট্রা যানসা টিকার কার্যকারিতা এসেছে ছিয়াত্তর শতাংশ।চায়নার সাইনো ফার্মা টিকার কার্যকারিতা এসেছে ৭৯  শতাংশ। johnson and johnson টিকার কার্যকারিতা ৬৭%। Novavax  টিকার কার্যকারিতা ৯০%। এই যে সংখ্যা গুলো বললাম সংখ্যা গুলো শুনে মনে হতে পারে যে, যে টিকার কার্যকারিতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সে টিকা গুলোই বোধহয় সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিবে,সে টিকাগুলোই বোধহয় বেস্ট। কিন্তু এই সংখ্যাগুলো দেখে এখনো বলা যাবে না একটা টিকা আর একটা টিকার চেয়ে ভালো কাজ করবে। এই সংখ্যাগুলো দেখে বোঝা যাবে না বা বলা যাবে না যে একটা টিকা আরেকটা টিকার চেয়ে ভালো কার্যকর কেন বলছি বুঝিয়ে বলি?

এই যে সংখ্যাগুলো আমরা যে বলছি এগুলো ট্রায়াল থেকে নেয়া হয়েছে।

এই ট্রাইলগুলো করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। এখন একটা কোম্পানি যে ক্রাইটেরিয়া বলেছে গুরুতর করোনা আরেকটা কোম্পানির তার ট্রায়াল-এ একই ক্রাইটেরিয়া দিয়ে ডিফাইন করেনি। তাহলে তো এই দুটো জিনিস তুলনা করা গেল না। তারপর তারা কোন কোন ট্রায়াল-এ গুনেছে শুধুমাত্র গুরুতর করোনা রোগীর সংখ্যা। কোন ট্রায়াল-এ গুনেছে মৃদু  করোনা রোগীর সংখ্যা। এখন যার করোনা মৃদু আর যার করোনা গুরুতরএই দুটো জিনিস একই রকম জিনিস তো হলো না তো এখানেও আমাদের তুলনাটা আসে না। তারপর এই যে গুরুতর করোনা বা মৃদু করোনা টিকা নেয়ার কয়দিন পরে দেখা গেছে সেখানে অনেক তফাৎ আছে।টিকা তৈরিতে এগিয়ে থাকা তিনটি বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর মধ্যে ফাইজার ও মডার্না আরএনএ প্রযুক্তির টিকা তৈরি করেছে। এ প্রযুক্তিতে এতে দ্রুত টিকা তৈরি করা সম্ভব।

এতে ভাইরাসের জেনেটিক কোডের ক্ষুদ্র একটি অংশ দেহে প্রবেশ করানো হয়। এতে করোনাভাইরাসের একটি অংশ তৈরি করতে শুরু করে এবং শরীর এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ প্রযুক্তির টিকা যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেয়েছে। অন্যদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাটি আলাদা। এতে নিরীহ ভাইরাস ব্যবহার করে শরীরে জেনেটিক উপাদান প্রবেশ করানো হয়। এ টিকাটি যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে অনুমোদন পেয়েছে।কোন কোন টায়াল এ গুনেছে যে দুই ডোজ টিকা দেয়ার ১৫ দিন পরে কেমন কার্যকারিতা দেখা গেছে। আবার কোন ট্রায়াল-এ দেখা গেছে প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পরে কেমন কার্যকারিতা দেখা গেছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Call Now Button