টিকা নিবো নাকি নিবো না? যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভ্যাকসিন নেয়ার আগে উপকার ও ঝুঁকির হিসাব কিভাবে নিবেন তা আজকে আলোচনা করব। প্রথমেই বলছি কি কি ঝুঁকি বিবেচনা করবেন বা ভ্যাকসিনের বিপক্ষে যুক্তিগুলো কি কি তা বলব? 

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও খুব ধকল ছাড়াই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।সব ওষুধের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও সেটা ব্যতিক্রম নয়।যেসব ভ্যাকসিন এ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে যে ভ্যাকসিনগুলো প্রাণঘাতী রোগ যেমন যক্ষা,হেপাটাইটিস বি,এই ভ্যাকসিনগুলো থেকে করোনা ভ্যাকসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কোন মতেই গুরুতর নয়।করোনা ভ্যাকসিন ও অন্যান্য ভ্যাকসিনের মত গবেষণার সবগুলো ধাপ পার করেছে।সকল ধরনের বৈজ্ঞানিক যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে,এবং নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। 

করোনা হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবে মৃত্যুর সম্ভাবনা একেবারে শূন্য নয়।একবার করোনা হলে তার প্রভাব শরীর থেকে যায় বলে আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি। একটা গবেষণায় দেখা গেছে করোনার যে রোগীরা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে  তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রতি তিন  জনের একজন আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে,মাত্র ৫ মাসের মাথায়।এদের মধ্যে প্রতি আটজনে একজন মারা যাচ্ছে।করোনা একবার হলে হার্ট, ফুসফুস,কিডনি ও অন্যান্য অর্গানে ক্ষতি হয় বলে দেখতে পাচ্ছি আমরা।ভ্যাকসিন নিলে আমরা রোগ থেকে সুরক্ষা পাই,তবে এছাড়াও ভ্যাকসিন আমাদের কে আরেকভাবে সুরক্ষা দেয় সেটা হল,একটা ভ্যাকসিন যদি আপনাকে রোগে আক্রান্ত হতে সুরক্ষা দেয় তাহলে আপনি সেই রোগ অন্যের মাঝে ছড়াতে পারবেন না। এর অর্থ হল একটা সমাজে যখন যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন দ্বারা সুরক্ষিত হয় ,তখন সে রোগ আর ছড়াতে পারে না।এটা হলে যারা ভেনোরেবল বা দুর্বল মানুষ তারা সুরক্ষিত থাকবে। এই দুর্বল মানুষের মধ্যে রয়েছে ,শিশু,চাঁদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদেরকে এখনই  ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব নয়।এছাড়া রয়েছে গর্ভবতী বা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমনকি এমন কিছু মানুষ যাদের ক্যান্সার হয়েছে বা দেহের কোন অঙ্গ  ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে কারণ এদেরকে এমন ট্রিটমেন্ট দেয়া হচ্ছে যা তাদেরকে অনেক দুর্বল করে তুলবে। আবার এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের শরীরের ভ্যাকসিন কাজ করে না ,কেন কাজ করে না সেটা বিজ্ঞান এখনো জানার চেষ্টা করছে। 

আমাদের চারপাশের মানুষগুলো যদি ভ্যাকসিন গ্রহণ করি,তাহলে চারপাশে একটা সুরক্ষা বলই তৈরি হবে।এই বলই তাদেরকে এমন একটা রোগ থেকে সুরক্ষা দিবে যা তাদের মৃত্যু ঘটাতে পারে। আমরা যারা সক্ষম তারা সকলেএকত্র হয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে করোনার বিরুদ্ধে পাহারা দিতে পারি।ভ্যাকসিন নেয়ার পক্ষে এসব গুলো বিবেচনা করার পর ভ্যাকসিন নিতে আর কোন দ্বিধা করবেন না।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Call Now Button